Novera Ahmed
বাংলাদেশের প্রথম আধুনিক ভাস্কর নভেরা আহমেদ (জন্ম আনুমানিক ১৯৩০) আছেন প্যারিসের ‘অজ্ঞাতবাসে’,
Novera Ahmed, a highly talented, audacious and somewhat enigmatic pioneer sculptor of Bangladesh who is credited with the original design of the Shaheed Minar,
a historical memorial monument for the martyrs of the language movement of 1952.
In 1957. the work of Shaheed Minar evolved - Novera Ahmed collaborated with Hamidur Rahman in the field of designing the fountain and embellishing the landscape
with sculptures and design of plants and foliage. Both Hamidur Rahman and Novera Ahmed had spent time in Florence and Novera had studied sculpture under Dr.
Vogel in London and the famous Italian Venturino Venturi in Florence. She was especially fascinated by the great tradition of fountain sculptures abounding
in Italian cities, such as the Fontana Trevi in Rome and Piazza Vecchio in Florence and garden designing as in Bobli Gardens and Villa Borghese. Mughals had
practiced fountain art in India, but only in well-laid gardens, as pan of the designs of these gardens. In Europe however, fountains had been a part of the
aesthetic layout of cities. When Novera came back to Dhaka, she became the first practitioner of fountain art in the then East Pakistan. Obviously, she wanted
to include a fountain as part of the structural design of the Shaheed Minar.
As an avant garde artist she wanted to add a new dimension to the landscape of Shaheed Minar using the flow of water as a complement to the graceful moving
shadows on the marble platform. Her sculptures were also to enhance the passion and pain of the martyrs through figurative works. She was the first sculptor
who pointed out the importance of placing sculpture in the open air. Unfortunately, these aspects remain unfulfilled to a great extent even now.
In late 1958, following the imposition of martial law by General Ayub Khan, the Shaheed Minar plan was shelved and those connected with it had to undergo
various tortures and harassment. In 1972, designs were called for to rebuild the Shaheed Minar (which was destroyed on the night of March 27, 1971 by the
Pakistan Army). A competition was held and many people submitted their designs from amongst which Hamidur Rahman's layout was selected once again. But the
original vision was never fully executed... Hamidur Rahman or Novera cannot implement their designs now. Hamidur Rahman passed away in 1989. And Novera
Ahmed had simply left, with no forwarding address. No one knows where she lives now, or what she is doing. A pity such a gifted artist has vanished from
amongst us.
১৯৬০-এর দশকের পর নভেরা আর বাংলাদেশে ফেরেন নি এবং তাঁর বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক রাখেন নি। তাঁর নীরবতার পাল্টা জবাবে যেন তাঁর নাম বিস্মৃতিতে হারিয়ে গেল, তাঁর কাজ অবহেলায় এবং অযত্নে ধ্বংস হয়ে গেল। ১৯৬০ সালে নভেরার প্রদর্শনীর ক্যাটালগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন লিখেছিলেন যে পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প জগতে একটা ক্ষুদ্র বিপ্লব ঘটে যায় যখন নভেরা আহমেদ নগরের কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগারের দেয়ালে উচ্চাবচ ভাস্কর্য গড়েন ১৯৫৭ সালে এবং প্রথম প্রাঙ্গণ ভাস্কর্য গড়েন ১৯৫৮ সালে। এ শিল্পকর্মগুলি নিয়ে ঢাকার নাগরিকরা গত কয়েক বছর বাস করছে। তবে তিনি মনে করেন আমাদের শিল্প জীবনে এ দুটি কাজের অভিঘাত মূল্যায়ন করতে বহু প্রজন্মের প্রয়োজন হবে। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ভাস্কর্যে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ নভেরা আহমেদকে একুশে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন।
‘বেগম নভেরা আহমেদ’কে একুশে পদকে সম্মানিত করার সরকারি ঘোষণাটির কথা আমাদের মনে আছে; আর এও মনে আছে যে, সবার প্রত্যাশার মুখে ছাই দিয়ে সেই সম্মাননা গ্রহণের জন্যও নভেরা দেশে আসেননি!
http://www.nirmaaan.com/blog/sumon/4428
